ডেস্ক: কাশ্মীর পরিস্থিতিতে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেখানে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ওদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের যৌথ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এতে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি একজন কর্মকর্তার মতে, এ বিষয়ে সোমবারই সরকারি এক নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের যৌথ অধিবেশন বসছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
যৌথ ওই অধিবেশন সম্পর্কে জাতীয় পরিষদের সেক্রেটারিয়েট থেকে এজেন্ডা সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বেসামরিক জনগণের ওপর বিনা প্ররোচণায় গুলি ও শেল নিক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনারা। তারা গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করেছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন করেছে বাড়তি সেনা সদস্য। সেখানে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি তাদের এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে হাউজে আলোচনা হতে পারে।
পার্লামেন্টের এই যৌথ অধিবেশন থেকে ভারত সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস হতে পারে। তবে এই অধিবেশন একদিনের জন্য নাকি দুদিন হবে সে বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। যেহেতু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আগেভাগেই মুলতবি ঘোষণা করেছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি, তাই যৌথ এই অধিবেশন দু’দিনের বেশি চলার কথা নয়। সোমবার সকালে ভারত সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা প্রকাশিত হওয়ার পর পরই পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করতে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম জন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি অবিলম্বে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন আহ্বানের ডাক দেন। এরপর করাচি থেকে তিনি এই অধিবেশনে যোগ দিতে রাজধানী ইসলামাবাদে এসেছেন। বিরোধী নেতারা আশা করছেন, পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারণ, কাশ্মীর ইস্যু সব রাজনৈতিক বিরোধের ঊর্ধ্বে।