বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আসবেন- তাই ‘পরিচ্ছন্ন’ সড়কে আগ থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলেন কাগজ-পত্র, পলিথিন, প্লাস্টিক, শুকনা পাতা, ডাবের খোসাসহ বেশ কিছু আবর্জনা। এরপর ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঘটা করে সেগুলো পরিস্কার করে উদ্বোধন করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’র। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহকে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ হিসেবে পালন করার কর্মসূচির সূচনার দিনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ভিসির সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কিছুদিন আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম একই কাণ্ড ঘটিয়ে ট্রলের শিকার হয়েছিলেন।
এবার সে পথে হাঁটলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রতক্ষ্যদর্শী এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘আমরা সকালেও এ জায়গাটি পরিষ্কার থাকতে দেখি।
ভিসি স্যারের প্রোগ্রামের আগে দেখি বিভিন্ন, পলিথিন, প্লাস্টিকের চায়ের কাপ, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন জিনিস পরে আছে। এ ময়লাগুলো একটু আগেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ভ্যানে দেখেছি।’ আরেক প্রতক্ষ্যদর্শী বলেন, ‘এখানে যে বর্জ্যগুলো পড়ে ছিল তা এখানকার বর্জ্য ছিল না। অন্য কোথাও থেকে এখানে এসব ময়লা ফেলানো হয়েছে।’ অবশ্য এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, ‘স্যারদের ময়লা তোলার সুবিধার্থে এসব ময়লা এখানে আনা হয়েছে। স্যার চলে গেলে এগুলো আমরাই পরিষ্কার করব।’