হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ভারতীয় পশুর আমদানী নেই। তাই পশুর দাম একটু বেশি বলে ক্রেতাদের ধারণা।
উপজেলার হাতীবান্ধাহাট, বড়খাতা ও দইখাওয়া প্রধান ৩টি পশুর হাট ঘুড়ে জানা গেছে, পশু আমদানী কম, দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের ভীড়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ভারতীয় পশুর আমদানী নেই।
উপজেলার সর্বত্র হাটে দেশি পশু (গরু, ছাগল) আমদানী হচ্ছে। চোঁখে পড়েনি কোন ভারতীয় গরু।
ক্রেতাদের ধারনা হাতীবান্ধা উপজেলার কোন সিমান্ত দিয়ে এবারে ভারতীয় গরু চোরাচালনে আসছে না, তাই গরুর দাম একটু বেশি। অপরদিকে গরু খামারি তছির উদ্দিন বলেন, গত বছর সিমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আশায় আমরা গরু খামারীরা লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
এবারে গরুর দাম একটু বেশি হওয়ার কারণে গত বছরের ক্ষতি এবারে পুষিয়ে নিতে পারবো বলে আশা করছি।
হাতীবান্ধা সদর হাটে ক্রেতা আবুল হোসেন ও হাসমত আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারে শুধুমাত্র দেশি পশু আমদানী হচ্ছে। এজন্য ক্রেতাদের অনেকেরই পছন্দ মতো পশু মিলছে না এবং গত বছরের তুলনায় দামেও বেশি।
অপর দিকে এখনও সময় আছে কোরবানীর পশু কেনার তাই ক্রেতারা শুধু পছন্দমত পশুর খোঁজ খবর রাখছে।
লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, কোরবানি পশুরহাট গুলো কড়া নজরদারি রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি এড়াতে জেলা পুলিশ সুপারের তৎপর রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।