ভয়ঙ্কর বিপর্যয় থেকে জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন জরুরি প্রস্তুতি : ডাব্লিউএইচও

কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি
image_167108.dwhoবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০০৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোর উপকূলে সুনামি আঘাত হানার পর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গত এক দশকে দেশগুলো দুর্যোগ মোকাবেলায় অপেক্ষাকৃত অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে যে জরুরি প্রস্তুতি এবং দুর্যোগে আরো প্রাণ বাঁচাতে সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা তৈরিতে আরো পদক্ষেপ প্রয়োজন। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ডাব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই মহা বিপর্যয় ঘটে। এ অঞ্চলে ৬টি দেশের উপকূলভাগে ভয়ঙ্কর সুনামি আঘাত হানে। এতে প্রাণহানি, ধ্বংস ও বিপর্যয় অকল্পনীয় আকার ধারণ করে। যে কোন সময় যে কোন স্থানে এ ধরনের অপ্রত্যাশিত বিপর্যয় মোকাবেলার প্রস্তুতি এবং দ্রুত সাড়া দেওয়ার প্রতি নজর দিতে হবে।
ডাব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে ৬টি দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড সুনামির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দাবি করা হয়, এতে প্রায় ২ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১শ’ কোটি মার্কিন ডলার।
তিনি আরো বলেন, দ্রুত এবং সম্ভাব্য জরুরি তহবিল সরবরাহের জন্য ডাব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের হেলথ ইমার্জেন্সী ফান্ড (এসইএআরএইচইএফ) গঠন করেছে। এদিকে বেঞ্চমার্কস ফর ইমার্জেন্সী প্রিপারেডনেস অ্যান্ড রেসপন্স হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে সেই ব্যবস্থা হিসেবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর সুনামি বিপর্যয়ের ১০ম বার্ষিকী পালনের প্রাক্কালে আজ বুধবার এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ব্যবস্থাপনা ঝুঁকি নিরুপনে এবং সক্ষমতা উন্নয়নে ডব্লিউএইচও’র বেঞ্চমার্ক ব্যবহৃত হবে।
ডাব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *