হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ চলতি বর্ষা মৌসমের শুরুতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বয়ে যাওয়া বন্যা পরিস্তিতি সামলে উঠতে না উঠতেই আমন ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পরেছে চাষীরা।
গত ৮ জুলাই থেকে টানা ভারি বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলায় অস্বাভাবিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। বিনিষ্ট হয় চাষীদের রোপা আমন বীজতলা।
পরবর্তিতে বন্যার পানি কমে গেলেও চাষীদের মাঝে থেকে যায় পরবর্তি বন্যা আতংক। আর এই আতংক নিয়েই সময়ের অপেক্ষা না করে, চাষীরা এখন চারা রোপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মাঠে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, ঘরে আর বসে নেই শ্রমিক ও চাষীরা কোমর বেধেঁ মাঠে নেমে পরেছে।
সরজমিনে কথা হয়, গড্ডিমারী এলাকার চাষী মনছুর আলীর সাথে তিনি জানান, বন্যায় বেঁচে যাওয়া চারা দিয়েই শুরু করেছি রোপন।
তিনি আরও বলেন এখনেই রোপন না করলেই আবারও বন্যা এলে আর কোন বীজতলায় চারা খুজে পাওয়া যাবে না তাই রোপন করাটাই শ্রেয়। এমনি কথা হয় ধুবনী গ্রামের চাষী মোজাম্মেল হকের সাথে, তিনি বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় সকলের বীজতলা বালু দিয়ে ঢেকে দিয়েছে বন্যায়। এবারে আমন চারার সংকট দেখাদিতে পারে তাই সংকট এরাতে বন্যায় বেঁচে যাওয়া অবশিষ্ঠ চারা দিয়ে রোপন শুরু করেছি। অপর দিকে সিন্দূর্না এলাকার চাষী একই কথা জানান। চাষী আব্দুল ওহাব জানান, শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ,একদিকে বন্যা অপর দিকে শ্রমিক সংকট এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।
তিনি জানান,১ হাজার ২ শত টাকা ব্যয়ে ১ বিঘা জমিনে চারা রোপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে শ্রমিক হাজিরা দিগুনভাবে বেড়ে যাচ্ছে। তাই সময় থাকতেই চারা রোপন করাটাই উত্তম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা হলে কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, বন্যা এলাক হলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় চাষীরা এবারে আমন মৌসমে দেড়গুন বেশি বীজতলায় চারা প্রস্তুত করেছিল।
এ কারণেই বন্যায় ক্ষতি হলেও অবশিষ্ঠ যে চারা রয়েছে তা দিয়েই চাষিদের চাহিদা পুরন হবে, চারা সংকট পরবে না।
তিনি আরও বলেন চলতি আমন মৌসমে উপজেলায় ২০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।