ঢাকা: ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন বাতিল ও পুন:নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবেদন নিস্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত বিজয়ী প্রার্থীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ২টা ৩৪ মিনিটে নির্বাচন কমিশন সচিবের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট এই আবেদন করেন টেবিল ফ্যান প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম রিপন আনসারী।
আবেদনে বলা হয়, ২৫ জুলাই ভোটের দিন প্রকাশ্যে সকল কেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে প্রতিটি কেন্দ্রে জাল ভোট মেরে চলে যায়। এ সময় ভোট গ্রহন প্রশাসন জাল ভোট প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করে। জাল ভোটের সময় উত্তেজিত জনতা কেন্দ্র ঘেরাও করতে চাইলে আবেদনকারী জান মাল রক্ষায় ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতি ঠেকাতে কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে জনতাকে শান্ত করেন। অতঃপর কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করার পর তাৎক্ষনিকভাবে রিটার্নিং অফিসারের নিকটও অভিযোগ দেন।
আজকের আবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের দিন করা অভিযোগ নিস্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত বিজয়ী প্রার্থীর শপশ গ্রহন অনুষ্ঠান স্থগিত করত: জনগনের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য এই ইউনিয়নে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠান জরুরী।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী বলেন, সকল কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট মারার সময় প্রতিপক্ষের নারী এজেন্টকেও ইভিটিজিং করা হয়েছে। জনগনকে ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক তৈরীর জন্য বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের মহড়া হয়েছে। তাই ভোটের দিনের সকল ফৌজদারী অপরাধের প্রেক্ষিতে পৃথক পৃথক মামলা হবে। তিনি আশা বলেন, একটি ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে সকল কেন্দ্র দখল করে নিজেকে অস্তিত্বহীন করার মত ঘৃনিত কাজ সরকার করবে বলে বিশ্বাস করি না। তাই সরকারের অজ্ঞাতসারে এই অপরাধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমার ধারণা, সরকার দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।