ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। আদালত আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়। এ দিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্টপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির শুনানির সময় চান। আদালত দুপক্ষের শুনানি শেষে কাল আবার শুনানির জন্য রাখেন। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী। এসময় বিএনপি নেতা মঈন খান, হাবিব -উন-নবী খান সোহেল ও আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রোববার খালেদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ওইদিন আদালত শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেন। গত ২০শে জুন বিচারিক আদালত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসে। গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ গ্রহণ করেন এবং বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বছরের ২৯শে অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে। এরপর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চারদিন পর গত বছর ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠা এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। গত ৩০শে এপ্রিল খালেদা জিয়াকে দেয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন আদালত। তবে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি শোনেনি আদালত। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। একইসঙ্গে নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।