সিলেট প্রতিনিধি: ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কানাইঘাট পূর্ব বাজার খেয়াঘাট থেকে একটি ইঞ্জিন নৌকা রিজার্ভ করে ৭ জনের একটি ডাকাত দল কানাইঘাট লোভাছড়া চা-বাগান এলাকায় আসলে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে জনতা তাদের আটক করে। ধারণা করা হচ্ছে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারির রয়্যালটি আদায়ের মোটা অঙ্কের টাকা লুট করতে পেশাদার ডাকাতরা সেখানে হানা দিতে চেয়েছিল।
জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পাথর ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন বাগানের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি রয়্যালটি ঘাটে ৬/৭জন অপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। এক পর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ৭জনকে আটকের সময় ৫ জন পালিয়ে গেলেও একটি ইঞ্জিন নৌকা সহ প্রথমে ২ ডাকাত কে আটক করেন স্থানীয় জনতা। আটককৃত ডাকাতদ্বয়ের স্বীকারোক্তিতে নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে স্থানীয় জনতা দেশীয় তৈরি দুইটি পাইপগান, কয়েক রাউন্ড গুলি,ধারালো রাম দা, চাকু-ছুরা, মুখোশ সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
ডাকাত আটকের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ একদল পুলিশ নিয়ে লোভাছড়া বাগান ঘাটে যান এবং লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের আসামপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ২ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। পরে আটক ৪ ডাকাতকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হল- সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মিরাছ আলীর পুত্র মরতুজ আলী (৩৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার পারকুল গ্রামের আব্দুস শহিদের পুত্র সালেহ আহমদ (৩০), এসএমপি জালালাবাদ থানার হেংলাকান্দি নওয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র রিয়াদ (৩৫), একই থানার নাওয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র মো. আমিন (৩৫)।
কানাইঘাট থানা পুলিশ পলাতক ৩ ডাকাত কে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ জানান, আটককৃতরা কুখ্যাত ডাকাত। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরী পাইপগান সহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অনেক জিনিসপত্র পাওয়া গেছে।