যখন ড্রোন ধ্বংস করা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলছে, ঠিক তখনই পারস্য উপসাগরে বিট্রিশ তেলের ট্যাংকার আটক করে সেই উত্তেজনায় ঘি ঢালে ইরান।
তেহরান বলছে, সমুদ্র-আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শুক্রবার হরমুজ প্রণালীতে ‘স্টেনা ইম্পেরা’ নামের ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটক করেছে তাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড। জাহাজটিতে ১৮ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। তাই উদ্বিগ্ন ভারতও।
এদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই তেহরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতর।
এদিকে, ব্রিটেন ফুঁসছে। পররাষ্ট্রসচিব জেরেমি হান্ট ইরানকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে, এর ফল হবে মারাত্মক।
”
শনিবার যদিও খানিকটা সুর নরম করে আলোচনার পথে হাঁটারই ইঙ্গিত দিয়েছে লন্ডন। আপাতত নিজেদের জাহাজগুলোকে হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটেন।
জাহাজটি আসলে সুইডিশ সংস্থা স্টেনা বাল্ক-এর। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তারাও। শনিবার সংস্থার এক কর্তা জানান, জাহাজের নাবিক-কর্মী সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
আটক জাহাজটিতে লাটভিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইনেরও পাঁচ জন কর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটেন।
হরমুজ প্রণালী ধরে ট্যাংকারটি সৌদি আরবের দিকে যাচ্ছিল। ইরানের দাবি, আচমকাই সেটি পথ ঘুরিয়ে তাদের একটি মাছ ধরার জাহাজকে ধাক্কা মারে, যা আন্তর্জাতিক সমুদ্র-আইনের লঙ্ঘন।
কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশ যদিও এর পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছেন। চলতি মাসের গোড়ায় ভূমধ্যসাগরে জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি তেলের ট্যাংকার আটক করে ব্রিটিশ নৌবাহিনী। অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সেই ট্যাংকারে সিরিয়ায় তেল পাঠাচ্ছিল ইরান। ব্রিটেনের ট্যাংকার আটকে ইরান এর ‘প্রতিশোধ’ নিল বলেও মনে করছেন অনেকে।