শ্রমিককে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে সৌদি রাজকন্যা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বোন হাসা বিনতে সালমানকে (৪৩) ফ্রান্সের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
হাসার বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে সহিংসতা এবং অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। মিশরীয় বংশোদ্ভূত এক কর্মী ২০১৬ সালে রাজকন্যা ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্সের আদালত তাদের বিচার শুরুর নির্দেশ দিলেও সেখানে হাজির ছিলেন না রাজকন্যা।
তবে দেহরক্ষী রনি সাইদি আদালতে হাজির ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্যারিসে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের সংস্কার কাজের জন্য একজন শ্রমিক নিয়োগ করেন হাসা। ওই শ্রমিক মোবাইলে তার ছবি তুলেছেন এবং সেগুলো বিক্রির চেষ্টার মতলব এটেছিলেন।
ছবিটি গণমাধ্যমের কাছে বিক্রি করতে চাওয়ার অভিযোগ এনে ওই শ্রমিককে হত্যার নির্দেশ দেন বলে হাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
ওই কর্মী জানিয়েছেন, হাসা বিনতে সালমানের নির্দেশে তার দেহরক্ষী তাকে মারধর করেন এবং অপহরণের চেষ্টা চালান। ওই কর্মী আরও বলেন, তাকে নির্মমভাবে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং রাজকুমারীর পায়ের পাতায় চুম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
ওই কর্মীর বরাত দিয়ে ফ্রান্সের লা পয়েন্ট নামের এক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজকুমারী চিৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ওকে মেরে ফেলো। এটা একটা কুকুর। ওর বাঁচার কোনো অধিকার নেই।
অবশ্য সৌদি বাদশাহ’র মেয়ে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওই ঘটনায় দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সহিংসতা, চুরি এবং কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধরে রাখার অভিযোগের তদন্ত চালানো হয়। রাজকন্যা হাসা বিনতে সালমানকেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান তিনি।
পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এক বিচারক। ধারণা করা হয়, ওই গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে তখন থেকে সৌদি আরবে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
রাজকন্যার আইনজীবী এমানুয়েল মোয়েন জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিজের বাড়ি থেকে স্কাইপের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন হাসা বিনতে সালমান।