রাজধানীর ওয়ারীর বাসায় শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় গতকাল সকালে শিশুটির বাবা আবদুস সালাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের পর রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার ১৩৯ নম্বর নির্মাণাধীন ভবনের আটতলা থেকে সায়মার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আবদুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।
ওই ভবনেরই ছয়তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারা।
লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। তবে শিশুটির ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ আলামত আমরা পেয়েছি।
সোহেল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত সায়মার বাবা আবদুস সালাম বলেন, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ আদায়ে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি, আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বাবু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।