আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের চার দলের মধ্যে তিন দল এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর বুধবার সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বাকি শুধু রয়েছে একটি দল।
বুধবার চেস্টার লি স্ট্রিটে ইংল্যান্ড জিতে নিউজিল্যান্ডকে সেমির জন্য অপেক্ষায় রেখে গেছে।
তবে স্বাগতিকদের এ জয়ে প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে পাকিস্তানের সেমিফাইনালের পথ।
নিউজিল্যান্ডের এ পরাজয়ের পর ৯ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট, নেট রানরেট +০.১৭৫।
অন্যদিকে ৮ ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের ঝুলিতে রয়েছে ৯ পয়েন্ট, নেট রানরেট -০.৭৯২! আর এ কারণেই অনিশ্চয়তা পড়েছে পাকিস্তান।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যেমন নিশ্চিত হয়নি নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল, তেমনি বাদ পড়ে যায়নি পাকিস্তানও।
শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সে ম্যাচে জয় পেলে নিউজিল্যান্ডের সমান ১১ পয়েন্ট হবে পাকিস্তানের। দুই দলের জয়ের সংখ্যাও হবে সমান ৫টি করে। ফলে গণনায় আসবে নেট রানরেট। যেখানে অনেক পিছিয়ে পাকিস্তান।
এদিন টসের পরই বলা যায়, নির্ধারণ হয়ে যাবে পাকিস্তানের ভাগ্য। বাংলাদেশ টসে জিতলেই বিদায় পাকিস্তান। আর পাকিস্তান টস জিতলে তারা পড়বে কঠিন সমীকরণে।
কেননা, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিতে শুধু জিতলেই হবে না, পূরণ করতে হবে এ বিশাল রান রেটও। তা কীভাবে সম্ভব হবে? বাস্তবিকভাবে অসম্ভব মনে হলেও, কাগজে-কলমে এখনও সম্ভব পাকিস্তানের সে সমীকরণ পূরণ করা।
আর এ সমীকরণ হলো বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ড গড়ে হারানো। সোজা কথা শুক্রবারের ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে যদি ৩৫০ রান করে, তাহলে তাদের বাংলাদেশকে অলআউট করতে হবে ৩৯ রানে। তারা আগে ব্যাট করে ৪০০ রান করলে টাইগারদের থামাতে হবে ৮৪ রানে। আর যদি বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়ে ৪৫০ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান, সেক্ষেত্রে ১২৯ রানে অলআউট করলেও সেমিতে যেতে পারবে ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তবে রয়েছে একটি সমস্যা। নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে টসের পরপরই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারে পাকিস্তান। তা কীভাবে? ম্যাচে যদি বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে তাহলে বলা চলে মাঠে খেলা গড়ানোর আগেই শেষ হয়ে যাবে পাকিস্তানের সেমিতে খেলার স্বপ্ন।
কারণ সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে যত রানই করুক, সে লক্ষ্যকে প্রথম বলেই তাড়া করতে হবে পাকিস্তানকে। অন্যথায় কোনোভাবেই তারা যেতে পারবে না সেমিফাইনালে।