ইভটিজিং’এর মতো ঘটনা ঠেকাতে ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা দিনে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি স্কুল। রাজ্যটির মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকে অবস্থিত ‘গিরিজা সুন্দরী বিদ্যা মন্দির’ স্কুলের এই সিদ্ধান্তে জেলার সীমানা ছাড়িযে রাজ্য জুড়েই হৈচৈ পড়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে ‘অদ্ভুত’ বলে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে।
এই স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়।
এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এটি ছাত্রদের হলেও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী উভয়েরই পড়ানো হয়ে থাকে। তবে কেবলমাত্র ইভটিজিং-ই নয়, সূত্রে খবর ছাত্র-ছাত্রীদের ‘প্রেম’ পর্ব নিয়েও বিরক্ত স্কুলের শিক্ষকরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ পান্ডের দাবি, ইভটিজিং’এর একাধিক অভিযোগ আসার পর তা ঠেকাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পান্ডে জানান, ‘সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার-এই তিন দিনে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। আর মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার-এই তিনদিন ছেলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার কথা বলা হয়েছে। ’ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর থেকে গোটা পক্রিয়াটি খুব সুন্দর ভাবে চলছে এবং এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত খুশি করতে পারেনি রাজ্য প্রশাসনকে। রাজ্যটির শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছি এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ’
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা সংসদ’এর সভাপতি মহুয়া দাস এই সিদ্ধান্তকে ‘অদ্ভুত’ বলে উল্লেখ্য করে বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেনি।