বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেই ভাল না হলেও সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এখনো পাকিস্তানের আশা দেখছেন কোচ মিকি আর্থার। প্রথম পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই পরাজিত হওয়া ১৯৯২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা খাদের একেবারে কিনারায় চলে গিয়েছিল। এর মধ্যে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রবিবার ৪৯ রানের রানের জয় শেষ চারে পাকিস্তানের স্বপ্ন আবারও নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি তিনটি ম্যাচে জিততে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে সরফরাজের দলের।
১০ জাতির এবারের আসরে ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এখনো টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পরে পাকিস্তানের অবস্থান সপ্তম।
ইংল্যান্ড যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের পরবর্তী তিনটি ম্যাচেই পরাজিত হয় তবে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। এমনকি টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডও যদি তাদের বাকি তিনটি ম্যাচে পরাজিত হয় তবে তাদেরও টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এসবই পাকিস্তানকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
আর্থার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমরা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আছি। অবশ্যই আমাদের ভাগ্য অনেকটাই অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। তবে আমাদেরও বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। ’
ইংল্যান্ডকে টুর্নামেন্টের শুরুতে পরাজিত করে বিস্ময় সৃষ্টি করা পাকিস্তান নিজেদের দিনে যেকোনো দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন আর্থার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন নিজেদের সেরা খেলাটা খেলি তখন যেকোনো দলকেই পরাজিত করার ক্ষমতা রাখি। নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশের বিপক্ষে বাকি তিনটি ম্যাচের জন্যই এটা প্রযোজ্য। বিশ্বকাপে অন্য দলগুলোর মতই আমাদেরও যোগ্যতা আছে। ’