নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা সিংদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বদলির অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক পাঠদান করছেন। শিক্ষক সংকট আরো দু’জন, তবুও দুই শিক্ষকের বদলীর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার।
জানা যায়, সিংদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.হাবিবুর রহমানকে সিংগারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর সুপারিশ করে গত ১৪ মার্চ (স্মারক নং ৫১৫) জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে শ্রীপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো.সিদ্দিকুর রহমান খান পত্র পাঠান। এর পর প্রায় ১৪ দিন পরে ২৮ মার্চ (স্মারক নং ৫৯৭) একই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক কুলসুমার বদলীর সুপারিশ করে সিংগারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ২৭ মার্চ মো.হাবিবুর রহমানের প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলীর অনুমতি প্রদান করলে তাকে ২৮ মার্চ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান খান তাকে বদলীর অফিস আদেশ দেন। এরপর চার দিন পরে কুলসুমারও প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলীর অনুমতি প্রদান করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। একই দিনে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার তাঁর বদলীর অফিস আদেশ দেন। তবে নিয়ম ও বিধি অনুযায়ী আগে যার বদলীর আদেশ হয়েছে তাঁর বদলী কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও দূর্নীতি ও নিয়মবহির্ভূত ভাবে কুলসুমাকে সিংগারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী কার্যকর করা হয়।
সহকারী শিক্ষক মো হাবিবুর রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী তাঁর বদলীর অনুমতি প্রদান করে জেলা শিক্ষা অফিসার। পরে অফিস আদেশ দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার। তবুও তিনি বদলী নিতে পারেননি৷ দূর্নীতি করে তাঁর চৌদ্দ দিন পরে আবাদেন করা কুলসুমাকে বদলী কার্যকর করা হয়েছে। সে এখন সিংগারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করছেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো শফিউল হক জানান, আমার বিষয়টি জানা ছিল না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা এন্ড আইসিটি) মো. শফিউল্লাহ জানান, নিয়মবহির্ভূত ভাবে কাউকে বদলী করার সুযোগ নেই। যদি কোন শিক্ষা অফিসার এটি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।