মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (সুমন) উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানী তুরাগের বেটে হাসেম আলীর পাশে বসে ছবি তুলেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। গত ১২ জুন তুরাগের রাস্তাঘাট দেখতে আসেন সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম, ৫৪ নং ওয়ার্ডের রাজাবাড়ী এলাকার বামন বা বেটে হাসেমের বাড়ী সামনে আসলে মেয়রের পথ আগলে দাড়ান বেটু হাসেম। এসময় মেয়রের সাথে থাকা লোকজন হাসেমকে উদ্দেশ্য করে নানা কথা বলতেছিলেন, ব্যাপারটা এমন ছিল যে, ‘হাসেম তুই মেয়রকে শক্ত করে ধর, যাতে আমাদের সমস্যাগুলো জলদি শেষ করে দেন’। লোকজনের কিছু সময়ের জন্য তাদের সমস্যাগুলো নিরসনের প্রতিনিধি হয়ে যান হাসেম। তারপর মেয়র আর হাসেমের মধ্যে কথা হয় প্রায় দুই তিন মিনিট। কি কথা হয়েছে মেয়রের সঙ্গে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে হাসেম বলেন, আমি সকলের পক্ষ থেকে মেয়রকে বলেছি, আমাদের তুরাগকে উত্তরা শহরের মতো বানিয়ে দিতে। আমরা অনেক কষ্টে আছি। মেয়র আমার কথা শুণে সমস্যা দ্রুত শেষ করার কথা বলেন।
তুরাগের রাজাবাড়ী এলাকার হাসেম আলী পেশায় একজন চা বিক্রেতা, রাজধানীর গ্রিন সুপার মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকান চালাতেন তিনি। প্রায় ৩২ বছর আগে ঢাকায় আসেন। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে তুরাগে স্ব-পরিবারে বসবাস শুরু করেন। মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সেই সময় তিনি রাজাবাড়ীতে রাস্তার পাশে দুই কাঠা জায়গা কিনেন। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের কারণে তার হাফ কাঠা জায়গা চলে যায়। এখন দেড় কাঠার উপর একটি তিন তলা বাড়ী বানিয়েছেন প্রায় তিনফুট উচ্চতার বেটু হাসেম। হাসেম জানায়,
বংশগতভাবে তারা সবাই এমন বেটে। তার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেও তার মতো বেটু। এজন্য অখুশি নন তিনি। তবে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝে থাকতে হয় তাদের। এটাই আফসোস দুই ফুট আট ইঞ্চি উচ্ছতার হাসেম আলীর। তবে বার্ধক্য এখন তাকে পেয়ে বসেছে, কিছু আর করতে পারেন না। শুধু বাড়ী ভাড়া আর এক ছেলের রোজগার দিয়েই চলে তার সংসার।