বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকলে তা অনেকটাই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু সময়ের আগেই তা কমতে শুরু করা বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ। অকালে কমতে থাকা দৃষ্টিশক্তি ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও। তাদের মতে, সময়ের আগে দৃষ্টিশক্তি কমার জন্য কিছুটা দায়ী আমরাই।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরই কিছু ভুল তৈরি করছে এই সমস্যা। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের দায়ে চোখের ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলছি আমরাই। চিকিৎসকদের মতে, সে সব অভ্যাসে রাশ টানলে দৃষ্টিশক্তি কমানোকে অনেকটাই আটকানো যায়।
ধূমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট নয়, ধোঁয়া থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।
ঘন ঘন স্মার্টফোন? কথায় কথায় হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে ঝড়? ফেসবুকের তর্ক-বিতর্কে মত প্রদান? এ সব আজকাল জীবনের অঙ্গ। তাই বাদ দেওয়া যায় না পুরোপুরি। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ছে দৃষ্টি।
চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই কাজে অবহেলা করবেন না।