ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুর হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে সব ধরণের ভারী ও মাঝারী যানবাহন চলাচল আজ সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর পুরাতন সেতুর চতুর্থ স্পেনের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের মহাসড়কের এই অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাজপুরের ক্ষতিগ্রস্থ সেতুর স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই যানবাহন চলবে। এদিকে মোট ৬০ মিটার সিঙ্গেল-সিঙ্গেল মেবি জনসন বা অন্য কোন প্রকার বেইলী সরবরাহ করার জন্যে সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে ‘অতীব জরুরি’ চিঠি পাঠিয়েছেন সড়কের কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। এতে বলা হয় সেতুর ষ্ট্রাকচার ঝুঁকিপূর্ন থাকায় এর পঞ্চম স্পেনের ওপর ৩০ মিটারের দুটি বেইলী স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেট প্রান্ত অভিমুখে সেতুটির ৪র্থ স্পেনের পূর্ব পাশের ক্যান্টিলিভার অবস্থায় নির্মিত ফুটপাত রেলিংসহ ভেঙ্গে পড়েছে। এই চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় পুরাতন সেতুটির পাশেই নতুন একটি সেতু নির্মানাধীন। যার কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে নতুন সেতু যানবাহন চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হবে। তিতাস নদীর ওপর ১৯৬৩ সালে নির্মিত শাহবাজপুর সেতুর (পুরাতন) মাঝখানে বেইলি সেতু বসিয়ে কোনো রকমে যান চলাচল স্বভাবিক রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। মাঝে-মধ্যেই বেইলি সেতুতে ওঠার সময় চাকা দেবে গিয়ে যানবাহন আটকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগ সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সেতুর দুই পাশে ১৫ টনের অধিক ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ করে সাইনবোর্ড টানিয়েছে। তবে সওজ’র এই নির্দেশনা না মেনে প্রতিনিয়ত ১৫ টনের অধিক যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করে।