তামিম ইকবালের ইনজুরি নিয়ে তাঁর রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারত মমিনুল ইসলামসহ কয়েকজনের ফর্মহীনতায়। শফিউল ইসলামের ইনজুরি কিংবা জুবায়ের হোসেনের লিগ ম্যাচে না খেলানোয়ও থাকার কথা উদ্বিগ্ন। বিশ্বকাপের হাওয়া যখন উড়ে বেড়াচ্ছে প্রবলভাবে, জাতীয় দলের অধিনায়কের তখন চিন্তিত না হয়ে উপায় কী!
কিন্তু মুশফিকুর রহিম তো এখন আর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নন। বিশ্বকাপের দলনেতা ঘোষণা করা হয়নি বটে, তবে আর্মব্যান্ড মাশরাফি বিন মর্তুজার হাতে ওঠাটা আনুষ্ঠানিকতা কেবল। মুশফিক তাই কেবলই দলের এক সদস্য। অন্য সতীর্থদের নিয়ে উদ্বেগ তাঁকে ছুঁয়ে যায় ঠিকই, তবে সেটি আর থিংক ট্যাংকের অংশ হিসেবে না। নিজের ফর্মে ফেরাটা তাই এখন মুশফিকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তবু তামিম ইকবালের চোট থেকে দূরে থাকতে পারছেন না মুশফিক। আজ থেকে শুরু হওয়া সুপার লিগে খেলতে পারছেন না বাঁহাতি এ ওপেনার। তামিমের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা নিয়ে উড়ছে সংশয়ের মেঘ। যদিও মাশরাফি বিন মর্তুজার মত মুশফিকও আশাবাদীদের দলে, ‘সবাই টুকটাক ইনজুরি নিয়ে খেলে। তামিমের ইনজুরিটা হয়তো অত সিরিয়াস না, আমার কথা হয়েছে। যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে তামিম ঠিক থাকে, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এর আগে বুড়ো আঙুলের ইনজুরির সময় তামিম কিন্তু ইনজেকশন নিয়ে খেলেছে। এটি নতুন কিছু না।’
কাল প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে কাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে মুশফিক ছড়িয়ে গেছেন জমজমাট লিগের প্রত্যাশা, ‘সুপার লিগ সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবগুলোর জন্য যেমন, তেমনি বিশ্বকাপের সম্ভাব্যদের জন্যও। এখানে যে ছয়টি দল উঠেছে, এদের মধ্যে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে। সে কারণে আমার মনে হয় লিগটি জমবে।’
জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই ঘরোয়ায় এসে আর পারফর্ম করতে পারেন না। এদিক দিয়ে মুশফিক বরাবর উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। এবার চার ম্যাচে ১৬০ রান তাই তাঁর সঙ্গে ঠিক যায় না। সুপার লিগে বড় ইনিংসের প্রত্যাশায় তাই বাড়াবাড়ি দেখছেন না মুশফিক, ‘বড় ইনিংস একটি কেন, আমার তো পাঁচটি আছে। আশা করব, পাঁচটি ইনিংসে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। আরও পাঁচটি ম্যাচ আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে সেখানে অবশ্যই বড় রান করতে পারব।’