বাজারে ভালো চাহিদা, দাম থাকায় এবং লাভজনক হওয়ায় তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চাষী সোহেল রানা। রং, স্বাদ, দেখতে আকর্ষণীয় ও লাভজনক হওয়ায় এ জাতের তরমুজ দেখতে ক্ষেতে ভিড় করেন অনেকে। নতুন জাতের এই তরমুজ চাষের সফলতায় অনেক কৃষক চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
দিনাজপুরের হাকিমপুরের দক্ষিণ বাসুদেবপুরের মহিলা কলেজপাড়া এলাকায় এ জাতের হলুদ তরমুজ চাষ করেন সোহেল রানা।
প্রতি বিঘা জমিতে এই জাতের তরমুজ চাষে সোহেল রানার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। প্রতিটি গাছে ৫-৬টি তরমুজ ধরেছে। প্রতিটি তরমুজ দুই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আর প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারি বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আর মাঠ থেকেই বিভিন্ন স্থানের পাইকারী ব্যৗবসায়ীরা এসব তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
তরমুজ চাষী যুবক সোহেল রানা জানান, হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে বাবার স্টেশনারি দোকানের পাশাপাশি অনেকটা শখের বশে এই তরমুজ চাষ শুরু করি। হাকিমপুর মহিলা কলেজের পাশে পরিত্যক্ত দুই বিঘা জমিতে তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ বর্ণের তরমুজ চাষ করি। চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যেই গাছে ফল ধরে। প্রতিটি গাছে ৫-৬টি করে তরমুজ ধরেছে। এলাকায় নতুন এবং হলুদ রংয়ের দেখতে আকর্ষণীয় ও স্বাদ ভালো হওয়ায় বাজারে এ জাতের তরমুজের বেশ চাহিদা রয়েছে। আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে এই জাতের তরমুজ চাষের ইচ্ছা আছে।
তিনি আরও জানান, জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই বাজারে এই নতুন জাতের তরমুজ আসায় এবং রমজান মাসে বাজারে বেশ চাহিদা ছিল এই জাতের তরমুজের। স্থানীয় হাকিমপুরের বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে এই হলুদ তরমুজ। তবে প্রথমবারের মতো এই জাতের তরমুজ চাষ করায় খরচ কিছুটা বেশি পড়লেও পরে এটার খরচ কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন জানান, হাকিমপুর উপজেলার পৌরসভা ব্লকের মহিলা কলেজ পাড়া এলাকায় সোহেল রানা নামে এক যুবক প্রথমবারের মতো গোল্ডের ক্রাউন বা রক মেলন জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছি। এই রক মেলন জাতের তরমুজ চাষ হাকিমপুর উপজেলায় সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।