ঢাকা: তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে এবারের বাজেটে। সাথে শ্রমবাজারে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তির আগমন, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়ট সরকার অত্যন্ত গুরত্বের সাথে গ্রহণ করেছে এবং এর সমাধানে নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া সরকার শিল্পখাতে কর্মসৃজনের গতি বড়াানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আধুনিকায়ন শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ উপযোগি আইন-বিধি, নীতি-কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে ১০টি আইন-বিধি, নীতি-কৌশল প্রণয়ন অথবা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই বছরে অবশিষ্ট সংস্কার কাজ সম্পাদন করে ক্রমবর্ধমান জনশক্তির জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবিত করছি।’
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে জনমিতিক লভ্যাংশের যে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা পর্যাযয়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
যুবকদের মধ্যে সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগ (স্টার্ট আপ) সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে।’