কুকুর সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনে বিশেষ ভীতি রয়েছে। আর এই ভীতির অন্যতম কারণ র্যাবিস। র্যাবিস আক্রান্ত কুকুর মানুষকে কামড়ালে তার সময়মতো চিকিৎসা না করালে পরিণাম হয় মৃত্যু। র্যাবিস আক্রান্ত কুকুরকে সাধারণ লোকজন পাগলা কুকুর বলেই জানে। প্রকৃতপক্ষে এই পাগল আচরণের জন্য দায়ী হচ্ছে র্যাবিস। র্যাবিস- র্যাবডোভাইরাস গ্রুপের আরএনএ ভাইরাসজনিত রোগ। র্যাবিস আক্রান্ত কুকুরের মধ্যে কোনো কিছুকে কামড়ানোর প্রবৃত্তি জেগে ওঠে, ঝাঁপ দিয়ে কোনো কিছু ধরতে চায় এবং গিলে খেতে সাহায্যকারী মাংসপেশিগুলোর সঙ্কোচন হতে থাকে।
ফলে তৃষ্ণা পেলেও পানি পান করা সম্ভব হয় না। আর তাই হয়তো র্যাবিসের অন্য নাম জলাতঙ্ক। কাজেই কুকুর থেকে সাবধান থাকা ভালো। কিন্তু কুকুর কামড়ালে মানুষের পেটে বাচ্চা হয়- এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। কুকুরের কামড় থেকে পেটে কুকুরের বাচ্চা হওয়া অবাস্তব ব্যাপার। এমনটি কখনো হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
তারপরও এ ধরনের একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস প্রচলিত আছে। সম্ভবত কুকুর সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বনের স্বার্থে এ ধরনের কথার প্রচলন হয়েছে। তবে কথাটির প্রচলন যে কারণেই হোক, কথাটি ঠিক নয়। কুকুর কামড়ালে পেটে বাচ্চা হয় না এবং বাচ্চা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে কুকুর কামড়ালে অবশ্যই তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং সেই সাথে ভ্যাকসিন নেয়া ঠিক হবে না। কারণ র্যাবিসে আক্রান্তদের একটাই গন্তব্য, আর তা হচ্ছে মৃত্যু। তবে সব কুকুর কামড়ালেই র্যাবিস হবে না। র্যাবিস আক্রান্ত কুকুর মানুষকে কামড়ালেই এই সর্বনাশ হতে পারে।