বাসস, ঢাকা: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্যাসের সব মিটার প্রিপেইড করা হবে।প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঢাকা মহানগরীসহ সকল এলাকা থেকে পুরোনো গ্যাস পাইপ লাইন অপসারণ এবং প্রিপেইড মিটার স্থানের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সকল আবাসিক এলাকায় শতভাগ প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবাসিক এলাকায় গ্যাসের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করছি। ইতিমধ্যেই দুই লাখ প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং আরও সংযোগের কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, সরকার গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখন মূল্য সমন্বয় করবে কিনা, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা গত বছর থেকে অপেক্ষায় রয়েছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা গত আগস্ট মাস থেকে এলএনজি উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি। আমাদের নিজস্ব গ্যাসের তুলনায় আমদানি করা গ্যাসের দাম অনেক বেশি। নিজস্ব গ্যাসের জন্য সরকারকে বছরে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। আমাদের সরকার বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় এবং এটা দেওয়া হয় আমাদের শিল্পের সহায়তায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঈদের সময়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ভালো ছিল। আমরা এ সময়ে ১২ হাজার ৮ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ কোথাও কোথাও সমস্যা হয়েছে এবং ওই সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ সমস্যার সমাধানে আমরা সচেষ্ট থাকব।
এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা একটা লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১, অতঃপর ২০৩০। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। তিনি বলেন, সরকার ভবিষ্যতে স্থলভিত্তিক এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন করবে এবং এরপর গ্যাসের দাম ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে। তিনি আরও বলেন, জাপান মাতারবাড়ী বর্ধিত প্রকল্পের জন্য আরও দুই শ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।