পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব গাজী (৫৬) প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার ভোরেও বেরিয়েছিলেন খেতে কৃষিকাজের জন্য। পথে হঠাৎ শিশুর কান্না শুনে থমকে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু আশপাশে কাউকে দেখতে পান না। শিশুটির কান্নার শব্দ অনুসরণ করে ঢুকে পড়েন সড়কের পাশের ঝোপে। সেখানে একটি শপিংব্যাগে নড়াচড়া শব্দ পেয়ে এগিয়ে যান তিনি। ব্যাগের ভেতর ছিল নবজাতক একটি ছেলেশিশু।
সোহরাব গাজী দ্রুত শপিংব্যাগটি নিয়ে ঝোপ থেকে বের করে আনেন। শিশুটির শরীরে ততক্ষণে পিঁপড়া ধরতে শুরু করেছে। শিশুটিকে তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে যান তিনি। তুলে দেন স্ত্রী নূরজাহান বেগমের (৫৪) কোলে। বর্তমানে নূরজাহানই শিশুটির দেখভাল করছেন।
সোহরাব বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার ভোরেও তিনি খেতে কাজে যাচ্ছিলেন। পথে নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে ঝোপের ভেতর অনুসন্ধান চালান তিনি। সেখানেই শপিংব্যাগের ভেতর শিশুটিকে পান তিনি। এরপর দ্রুত উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান তিনি। সোহরাব বলেন, নবজাতকের মা-বাবার খোঁজ বের করার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত শিশুটির মা-বাবার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সোহরাবের স্ত্রী নূরজাহান বলেন, তিনিই নবজাতকটির দেখাশোনা করছেন। শিশুটি সুস্থ আছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কে বা কারা এভাবে নবজাতক শিশুটি রেখে গেছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নবজাতকটির চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এখন নবজাতক সুস্থ আছে এবং সোহরাব গাজীর স্ত্রী নূরজাহান বেগমের কাছে রয়েছে।