ডেস্ক: টানা তিন ম্যাচ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। রোহিত শর্মার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ফেবারিটের মতোই শুরু করল ভারত।
৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলটা সীমানাছাড়া করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৭ বলের ছোট ইনিংসে পান্ডিয়ার তৃতীয় চারেই অবশেষে ম্যাচটা শেষ হলো। দক্ষিণ আফ্রিকার যন্ত্রণার অবসানও হলো। ২২৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতের ৪ উইকেট ফেলতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
এ হারেই পরাজয়ের হ্যাটট্রিক হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। এমন হারেও স্বস্তি পেতে পারে দলটি। এ বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম ব্যবধানে যে আজই হারল তারা। আজই যা একটু লড়ল প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপের আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ফেবারিট বলেছিলেন, এটা ভেবে সব সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকেরা নির্ঘাত এখন মাথা চুলকাতে ব্যস্ত!
এ ম্যাচ থেকে তবু সাহস সঞ্চয় করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২৭ রান করেও ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে ৪৮ ওভার মাঠে রাখতে পেরেছে তারা। চোটের কারণে বিশ্বকাপকেই বিদায় বলে দিয়েছেন ডেল স্টেইন। কিছুদিন আগে ভারতকে কাঁপিয়ে দেওয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডিও নেই । এমন অবস্থায় রাবাদাই ছিলেন একমাত্র ভরসা।
রাবাদাই যা একটু চেষ্টা করলেন। শিখর ধাওয়ানের ব্যাট ভাঙলেন, তাঁকে আউটও করলেন। লোকেশ রাহুলকে আউট করে কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তিও এনে দিয়েছিলেন রাবাদা। ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তাঁর বোলিংয়ের চেষ্টার কথাও বলছে। কিন্তু ২২৭ রান রক্ষা করার জন্য তা যথেষ্ট নয়। প্রোটিয়া ফিল্ডাররা চেষ্টা করেছেন বেশ। বিরাট কোহলিকে (১৮) ফেরাতে যে ক্যাচটা ধরেছেন কুইন্টন ডি কক, সেটা বিশ্বকাপের সেরা পাঁচে থাকবে।
ভারতের ব্যাটসম্যানেরাও একটু বেশিই ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করার ইচ্ছা নিয়ে নেমেছিলেন। কোহলির ১৮ এসেছে ৩৪ বলে। লোকেশের ২৬ এল ৪২টি বল থেকে। মহেন্দ্র সিং ধোনিও ক্রিস মরিসকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৪ রান করেছেন ৪৬ বলে। তবু যে ভারতের জয় পেতে কোনো সমস্যা হলো না, তার কারণ রোহিত শর্মা। সেঞ্চুরি দিয়ে বিশ্বকাপের শুরু করলেন এই ওপেনার। পুরো ইনিংসেই এক প্রান্ত ধরে রাখার কাজটা করেছেন নিপুণভাবে। ৭০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরও ৫৭ বল পর। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৩ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন রোহিত।
বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে মহা বিপদে পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটা এখন তাদের জন্য বাঁচা মরার হয়ে উঠেছে।