বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া ‘সব বিতর্কিত’দের বহিষ্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। দাবি আদায় না হলে আসন্ন ঈদও সেখানেই পালন করতে পারেন তারা। গতকালও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করেছেন পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার সাবেক নেতারা। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সবাই বাড়ি চলে গেছে।
আমাদেরও ইচ্ছা হয় পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। কিন্তু প্রচ- ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা তা পারছি না। ’ অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই গত ২৮ মে রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতার পদশূন্য ঘোষণা করে।
তবে কমিটি থেকে বাদ পড়া ওইসব পদ বা পদধারী কারোই নাম প্রকাশ করা হয়নি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ‘বিতর্কিত নেতাদের নাম প্রকাশ না করার মাধ্যমে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ’ পদবঞ্চিতদের দাবি, তারা একশজন বিতর্কিতের তালিকা দিয়েছিলেন। কিন্তু নাম না প্রকাশ করেই বাদ দেওয়া হয় মাত্র ১৯ জনকে। তারা একশজনের বিষয়ে তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে, অবস্থান কর্মসূচির অষ্টম দিনে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক পদবঞ্চিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউই তাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দেননি বলে জানিয়েছেন তারা। শনিবার পদবঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে ইফতার করতে রাজু ভাস্কর্যে এসেছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে তারা এ সময় দাবির বিষয়ে কোনো কথা বলেননি বলে জানান পদবঞ্চিতরা। পদবঞ্চিত রাকিব হোসেন বলেন, শনিবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আর রবিবার শুধু সভাপতি ইফতার করতে এসেছিলেন। কিন্তু তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি। ’ এ ছাড়া রবিবার আওয়ামী নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ফোনে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ডাকেন। তবে এর আগে দুই দফায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে ‘প্রতিশ্রুত’ দাবির বিষয়ে কোনো ‘সুরাহা’ না হওয়ায় সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানান পদবঞ্চিতরা।