ডেস্ক: বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ আছে। বাস মালিকরা বলছেন, ফেরার পথে খালি আসতে হয় বলেই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তাই, বাস মালিকদের বলেছি, সংযমী হোন। আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, কথায় কাজ হলে দেশ আগেই সোনার বাংলা হয়ে যেত। প্রবলেম আমরাই তৈরি করি। সততা নিয়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিহাসে এমন স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা হয়নি জানিয়ে কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করা। বৃষ্টি হলে গাড়ি ধীরগতিতে চলতে পারে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে মোবাইল কোর্ট কাজ করছে। দুরপাল্লার বাসের মধ্যে শাহ ফতেহ আলী, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন ও মানিক এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, রাজধানীর ভেতরে সায়েদাবাদ টার্মিনালে ২১শে পরিবহনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাইল কোর্ট। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঈদে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র অনুরোধে ৭০টি আর্টিকুলেটেড বাস দিয়েছে বিআরটিসি। এসব বাস গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
রাজনীতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কাদের বলেন, সবার বক্তব্যের ভাষা নমনীয় হওয়া উচিত। এসব বিষয় পরিবর্তন হলে অনেক বিষয় পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর বিরোধীদলের অনেকেই সৌজন্যবোধ থেকে দেখা করতে গেছেন। সামাজিক সৌজন্যবোধ বিলুপ্ত হলে গণতন্ত্রে অবনতি ঘটবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা সম্পুর্ণ আদালতের বিষয়। বিএনপি অন্যতম বড় দল হলেও তারা সরকার ও আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।