মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে আনা মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। বেঞ্চের অপর ২ সদস্য হলেন : বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম। এর আগে সকাল ১১টা ৩ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে এসে এজলাসকক্ষে আসন নেন বিচারপতিরা। শুরুতে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সকার ১০টা ৫৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয় কায়সারকে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে এনে হাজতখানায় রাখা হয় তাকে। তার পরনে রয়েছে সাদা রংয়ের প্যান্ট ও অ্যাশ কালারের ব্লেজার। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কায়সারকে কারাগার থেকে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের উদ্দেশে রওনা হয় একটি প্রিজন ভ্যান। পুরোটা সময় তাকে চিন্তাযুক্ত দেখাচ্ছিল।
গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, আটক, মুক্তিপণ আদায়, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন এবং ষড়যন্ত্রের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩ এর ৩(২)(এ), ৩(২)(সি), ৩(২)(জি), ৩(২)(আই), ২০ (২) এবং ৪(১) ধারা অনুসারে আনা এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ১৫২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, দুই নারীকে ধর্ষণ, পাঁচজনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় এবং দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ।