হ্যাপীর ইন্টারভিউ শুনলাম। খুব হৃদয়স্পর্শী, খুব বিশ্বাসযোগ্য। আবেগ নয় শুধু, যুক্তিও প্রচুর। হ্যাপীকে দেখে যেন মেয়েরা শেখে, মুখ-বুজে-না-থাকা শেখে। অন্যায় আর প্রতারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখে, যেন একা একা ঘরের কোণে বসে আর না কাঁদে, যেন নিজেকে ক্ষুদ্র তৃণসম না ভাবে, যেন অসহায় অবলা না ভাবে, যেন ঘৃণ্য নিকৃষ্ট কিছু না ভাবে, যেন আত্মহত্যা করার দুঃস্বপ্ন না দেখে, যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, নিজেকে সম্মান আর কেউ না দিলেও যেন নিজে দিতে শেখে।
আজ হ্যাপীকে লোকে দোষ দেবে। কারণ প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে হ্যাপী মুখ খুলেছে, চুপ করে থাকার, নীরবে অনাচার সওয়ার পুরুষতান্ত্রিক নিয়মগুলো মানেনি। কিন্তু আরও অনেক মেয়ে যখন মুখ খুলবে, আরো হাজারো মেয়ে, আরো লক্ষ মেয়ে- তখন কাকে রেখে কাকে ছি ছি করবে লোকে! বরং তটস্থ হবে নিজেদের আবর্জনা আবার কেউ দেখে ফেলে কিনা এ নিয়ে।
ভুলে গেলে চলবে না আমরা সেই সমাজে বাস করি, যে সমাজ পুরুষদের ভোগের জন্য বেশ্যালয় খুলেছে, যে বেশ্যালয়ে অধিকাংশ মেয়েরাই আসে প্রেমিক দ্বারা প্রতারিত হয়ে, যে বেশ্যালয়ে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিক্রি করে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতারক শুধু নিচু তলায় নয়, প্রতারক সব তলাতেই আছে। জাতীয় ক্রিকেট টিমেও আছে। হ্যাপীর ব্যক্তিত্ব, দৃঢ়তা এবং সাহস আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাকে অজস অভিনন্দন। -বাংলাদেশ প্রতিদিনv