ডেস্ক: আবারো কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির (সিপিপি) চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভার নবনির্বাচিত ৫২ জন দলীয় সদস্য তাকে এ পদে পুনঃনির্বাচিত করে। পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে নিজ দলের রাজ্যসভার সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি থেকে নির্বাচিত সোনিয়া গান্ধী। তিনি একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) চেয়ারপারসন। তিনি সিপিপির বৈঠকে বক্তব্যে ১২ কোটি ১৩ লাখ ভোটারকে ধন্যবাদ জানান, যারা কংগ্রেস পার্টির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন আবারও। সোনিয়া গান্ধীর এই বক্তব্যের বিষয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুর্য্যওেয়ালা।
বৈঠকে সিপিপির চেয়ারপারসন হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম উত্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তার প্রস্তাব সমর্থন করেন ঝাড়খন্ডের এমপি জ্যোতিমানি এস এবং কেরালার এমপি কে সুধাকরণ। এরপর বক্তব্যে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, রাহুলের নেতৃত্বে দল নতুন উদ্যম পেয়েছে। তিনি আরো জানান, ৫২ জন এমপি নিয়েই লোকসভায় তার দল আন্তরিক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে এবং জনসম্পৃক্ত ইস্যুগুলো সামনে তুলে ধরবে।
সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির নেত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন তার ছেলে ও দলীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে বলেছেন, কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির নেত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী। আপনার নেতৃত্বে কংগ্রেস শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দলের প্রমাণ দেবে। এই দল ভারতের সংবিধান রক্ষার পক্ষে লড়াই করবে।
ওই বৈঠকে পার্লামেন্টের আসন্ন অধিবেশনে দলীয় কৌশল কি হবে তাও নির্ধারণ করেছে। লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ২৫ মে দলের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। তারপর এটাই হলো দলীয় প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।