দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে অবৈধ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ধানমণ্ডি ‘ল’ কলেজ। ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির ওপর স্থাপিত ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বলেছে সংসদীয় সাব কমিটি। নইলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আজ সোমবার ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনে যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে গঠিত সংসদীয় সাব কমিটি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই সাব কমিটি দেখতে পায়, ধানমণ্ডি ল’ কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা পৌরসভার সঙ্গে ভাড়া ভিত্তিক একটি চুক্তি করা হলেও ‘৭৩ সালে তা বাতিল করা হয়। তবে শিক্ষা কার্যক্রম ওখানেই চলে আসছে। শুরু থেকেই রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী এই ল’ কলেজটি ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কাজকে আইন কলেজের বে-আইনী কাজ বলে কমিটি মন্তব্য করেছে।
পরিদর্শনশেষে সাব কমিটির আহ্বায়ক আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, অতি দ্রুত ধানমণ্ডি ল’ কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি রুম প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ছেড়ে দিতে এবং বাকি রুমগুলো অতিদ্রুত খালি করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সমস্ত কার্যক্রম নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপরেও সরকারি স্কুলে জায়হা না ছাড়লে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করা হবে বলে তিনি জানান।
আ খ ম জাহাঙ্গীর বলেন, শাহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে। এতে অবাঙালি লোকরা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আজ সোমবার সাব কমিটির সদস্যরা ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি থানার চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক টিমে আহ্বায়ক ছাড়াও কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আলী আজম ও উম্মে রাজিয়া কাজল এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাব কমিটি বরাবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণজনিত সমস্যা সমাধান, আগারগাঁও তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাভুক্ত ওযুখানা ও অন্যাযন্ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং শাহীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশের অবৈধ দখলদার ও ডাস্টবিন জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদের সুপারিশ করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে।