ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ওই প্রেমিকা কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। অসুস্থাবস্থায় চারদিন পূর্বে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
কন্যার নাম রাখা হয়েছে ফাতেমা। শিশুটির মা তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের পর অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে গত ১৭ মে সকাল থেকে প্রতিবেশী প্রেমিক লুৎফর রহমানের বাড়িতে অবস্থান নেয়। ১০ দিন অবস্থান নেওয়ার পর ২৭ মে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার সেই প্রেমিকা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ্য রয়েছেন।
এদিকে, ধর্ষনের এ ঘটনার পর প্রেমিকা তার প্রেমিক লুৎফর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু লুৎফর নানা টালবাহানা করে। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে তার সঙ্গে সর্ম্পকের কথা অস্বীকার করে। পরে মেয়েটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নালিশ দিলেও কোন কাজ হয়নি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ তা গ্রহন করে।
ওই প্রেমিকার স্বজনরা জানান, প্রতারক প্রেমিক লুৎফরের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় শিশুটি ও তার মায়ের ক্ষতি করতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, প্রেমিক লুৎফরের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল দিয়ে ঘোরাফেরা করে শিশু ও তার মায়ের উপর নজর রাখছে।