শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সকল মেট্রোপলিটন ও রেঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশ দেনল।
ভিডিও কনফারেন্সে মেট্রোপলিটন সদর দপ্তরসমূহে উপ-পুলিশ কমিশনার ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তারা এবং রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে রেঞ্জাধীন জেলা পুলিশ সুপার ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি সাধারণ মানুষের ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে মার্কেট ও শপিংমলে ভোররাত পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দেন।
তিনি মার্কেট কমিটির সমন্বয়ে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং বৃহৎ মার্কেট ও শপিংমলে সিসিটিভি, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর এবং প্রয়োজনে আর্চওয়ে স্থাপনের পরামর্শ দেন।
আইজিপি সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের নির্দেশ প্রদান করেন। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে সিসিটিভি স্থাপন, ট্রাক, পিকআপ এবং পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহণ রোধ এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া মহাসড়কে যানবাহন না থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, টার্মিনাল হতে বাস ছাড়ার পূর্বে ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স, অন্যান্য কাগজপত্র ও ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে।
বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন বন্ধের নির্দেশ এবং রেলপথে নাশকতা রোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর মারা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে যেন কোনভাবে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ এবং নৌপথে অন্য কোন স্থান হতে নৌকা দিয়ে যাত্রী উঠনো বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।
আইজিপি পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জাতীয় ঈদগাহ, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া, দিনাজপুরের গোর এ শহীদ বড় ময়দান ঈদগাহসহ বিভাগ ও জেলার কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। ঈদের ছুটিতে আবাসিক এলাকা, ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান, স্বর্ণের দোকান ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আইজিপি।