ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবারও নয়াদিল্লির আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বনির্ধারিত সফরে পরশু মঙ্গলবার তিনি জাপান যাচ্ছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পূর্বনির্ধারিত জাপান সফরের কারণে ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেবার মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান থেকে যাবেন সৌদি আরব। আগামী শুক্রবার জেদ্দায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনেও তাঁর অংশ নেওয়ার কথা আছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ড যেতে পারেন বলে জানা গেছে। সেই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আগামী ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরবেন।
গত বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোন করা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, বিদেশি নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনাই প্রথম মোদির বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটি দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ নিবিড় ও দুই নেতার চমৎকার সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘দুই নেতাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নজিরবিহীন নতুন উচ্চতায় উন্নীত করা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁরা নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পরিবহন, জ্বালানি ও মানুষে মানুষে সম্পর্ক খাতে অংশীদারি জোরদারে চলমান পরিকল্পনা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার গুরুত্ব স্বীকার করেন।’
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকীর আলোকে আগামী তিন বছর দুই দেশের সম্পর্কের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কাজ শুরু করতে যত দ্রুত সম্ভব বৈঠকের তারিখ নির্ধারণেও সম্মত হয়েছেন।