ডেস্ক: ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৩০০ কোটিরও বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক। গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ‘আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি’ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় তারা এমন ব্যবস্থা নিয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলো খোলার ‘কয়েক মিনিটের মধ্যেই’ সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ধারণা, প্রতি মাসে ২৪০ কোটি সচল অ্যাকাউন্টের মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশ বা ১২ কোটি অ্যাকাউন্টই ভুয়া। এর আগের হিসাবের তুলনায় এবারের হিসাবে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ থেকে ২ শতাংশ বেড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘৃণা বাক্য ছড়ানোয় প্রায় ৭৩ লাখ পোস্ট ও ছবি সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এর আগের হিসাবে সরিয়ে নেওয়া পোস্টের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৪ লাখ। এই প্রথমবারের মতো সরিয়ে নেওয়া পোস্টের সংখ্যা প্রকাশ করল ফেসবুক।
কেবল ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসেই ২২০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ফেসবুক। ব্যবহারকারীরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানোর আগে নিজ উদ্যোগেই ৯৯ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে সেগুলো সরিয়ে নেয় ফেসবুক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার এই ঘটনা ফেসবুকের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কথাই জানাচ্ছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহারের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে এমনিতেই ফেসবুককে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, মিয়ানমার, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব ছড়ানোর কাজে প্রায় সময়ই ফেসবুক ব্যবহার করা হয়েছে।
এত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ফেসবুকের মালিকানাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা উচিত কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের বেশ কড়া জবাবই দিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমি মনে করি না কোম্পানি ভেঙে দিলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ফেসবুকের এমন অভাবনীয় আর্থিক সাফল্যই আমাদের এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। আমার তো মনে হয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেসবুক বার্ষিক যে পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ রাখে, টুইটার পুরো এক বছরেও সে পরিমাণ আয় করতে পারে না।’