হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসনের ভুমিকা রয়েছে রহস্যজনক।প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।
কোন কোনস্থানে প্রশাসন পাথর উত্তোলন না করে বালু উত্তোলনের মৌখিক অনুমতি ও দিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এমনিই তথ্য জানা গেছে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পাটগ্রাম উপজেলার ঝোংড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম কাফির বাজার সংলগ্ন বাইপাস সড়কের সন্নিকটে বোমা মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে।ফলে সড়ক, বাজার ও বসতবাড়ি রয়েছে হুমকির মুখে।
এদিকে উপজেলার বাউরা ইউনিযনে ৩নং শিবরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেও বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
কাফির বাজার এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র রশিদুল ইসলাম জানান, পাটগ্রাম ইউএনও মেশিনের কাছে এসে পাথর উত্তোলন না করার নির্দেশ দিলেও বালু উত্তোলন করার মৌখিক অনুমতি দিয়ে চলে গেছেন।
কাফির বাজার এলাকার চায়ের দোকানদার মোশারফ হোসেনও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। জোংড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,পাটগ্রাম ইউএনও’র মৌখিক অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি।
বালুমহল ইজারা আইনের ১৫।(১)এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধানসহ অন্য কোন বিধান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করিলে বা এই আইন বা অন্যকোন বিধান লংঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ বা তাহাদের সহায়তাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন অনূর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০হাজার টাকা হইতে ১০লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।