ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ। এর আগে, সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা মাশরাফি বিন মর্তুজা দল এবার তাদের শেষ চার ম্যাচে অসাধারণ খেলে ইংল্যান্ডে এসেছে। তাদের এই সাম্প্রতিক ফর্ম প্রতিষ্ঠিত যে কোনো দলের জন্য ভয়ংকর ইঙ্গিত দিচ্ছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, তারা ক্রিকেটের যে কোনো অভিজাত দলকে পরাজিত করতে পারে। দুই বছর আগে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে উঠা তারই অন্যতম উদাহরণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে।
২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। এর মধ্যে ছিল ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলও। সিরিজগুলো হোম সিরিজ হলেও এখানে তারা তাদের উন্নতির বিশাল স্বাক্ষর রেখেছে। সিরিজগুলো জিতে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিং, অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ তাদের ২০টি একদিনের ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতে জয়লাভ করেছে এবং র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সপ্তন স্থানে অবস্থান করছে। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি, সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম বিশ্বকাপে আসছে।
মাশরাফি জানিয়েছেন, সেমিফাইনাল তাদের লক্ষ্য। তবে ১০ জাতির রবিন রাউন্ড পদ্ধতিতে সেখানে পৌঁছানোটা কঠিন। ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের আগে মাশরাফি বলেন, ”আমি মনে করি, এই মুহুর্তে সেমি-ফাইনালে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু কিছুই অসম্ভব নয়। ”
“অবশ্যই এটা সম্ভব, যদিও কঠিন। আগে গ্রুপ পর্যায়ে এক বড় দলকে হারাতে পারলেই যথেষ্ট ছিল। কারণ তাদের পক্ষে পরে ‘কামব্যাক’ করা কঠিন ছিল। কিন্তু এখানে আমরা ৯টি খেলা আছে। যারা সেমি-ফাইনালে খেলতে চায় তারা ফিরে আসতে প্রচুর সুযোগ পাবে। আমাদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ”