নাটোর: ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট করার ঘটনায় তদন্তের শেষ দিন মঙ্গলবার প্রত্যাহার হলেন নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন সিকদার। তাঁকে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে । এর আগে এই ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
বগুড়া হাইওয়ে রেঞ্জের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি পদে দেলোয়ার হোসেন নামে নতুন একজন যোগদান করেছেন।
বগুড়া হাইওয়ে রেঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডিম নষ্ট করার ঘটনায় ওসি মো. আলীম হোসেন সিকদারকে প্রত্যাহার করে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার এই ঘটনায় একজন সহকারী উপপরিদর্শক, একজন সহকারী ট্রাফিক উপপরিদর্শক, পুলিশ বহনকারী যানের চালক ও তিনজন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয় । তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ওই ঘটনার তদন্ত শেষ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ হেড কোয়ার্টারে জমা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার শহীদুল ইসলাম জানান, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে জনমনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তবে তিনি প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি। এ ব্যাপারে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেল বিস্তারিত জানাবে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে ৩৫ হাজার ১০০ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে বনপাড়া হয়ে নাটোরে যাচ্ছিল একটি পিকআপ ভ্যান। পথে বড়াইগ্রামের আগ্রান সূতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা ফেটে গেলে সেটি পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। ‘ভুক্তভোগী’ পক্ষের অভিযোগ, এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপ উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা বকশিশ দাবি করে। এতে চালক রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচা বাঁধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেন। তাতে সড়কে পড়ে পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম নষ্ট হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিক পক্ষের দাবি। এ নিয়ে প্রথম আলোতে ‘সাহায্য তো পেলই না, উল্টো ভাঙল ৩৫ হাজার ডিম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।