রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কিনেছেন ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমাতুজ জোহরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বেঁকাশাহারা গ্রামের প্রকৃত কৃষক আহম্মদ আলীর বাড়িতে যান। তখন তার কাছ থেকে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ধান ক্রয় করেন।
এরপর একই মহল্লার আরো বেশ কয়েক প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে ধান ক্রয় করা হয়।
ধান কেনার সময় শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমাতুজ জোহরার সাথে ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম মূয়ীদুল হাসান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ কবির হোসেন।
ইউএনও ভারপ্রাপ্ত ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, কৃষকেরা যেন ধানের দাম পান ও প্রকৃত কৃষক সরকারের কাছে ধান বেচতে পারেন সে জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। একজন কৃষক কমপক্ষে দুই টন ধান বেচতে পারবেন।
কৃষক জয়নাল মিয়া বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় টেনশনে ভোগেন। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ার শংকায় সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে সাহস করেননি। ইউএনও সাব বাড়িতে এসে ধান কেনায় খুব সহজে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে লাভ হয়েছে। তবে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি করেন কৃষকেরা।
ইউএনও ভারপ্রাপ্ত আরো বলেন, সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সেই মূল্যে যেন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে পারি সেটা নিশ্চিত করা একটা উদ্দেশ্যে। আর একটা উদ্দেশ্যে হল, সামনে ঈদুল ফিতর উৎসব। অন্যান্য পেশার লোকজন যখন তারা খুশি মনে ঘরে ফিরবে। আর তখন কৃষকের হাতে যদি অর্থ না থাকে তাহলে কিন্তু কৃষকের জন্য এটি খুব কষ্টের হবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন, কৃষকরা যেন খুশি থাকেন। তাদের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে। সেটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরেজমিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি এসে ধান ক্রয় করছি।
তিনি বলেন, এভাবে ধান কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ইউএনওকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। কারণ কৃষক ভালো থাকলে, সারাদেশ ভালো থাকবে।