পণ্য ও সেবা প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আসর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু করতে প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ১০ দিন পিছিয়ে যাওয়ায় এবার আগেভাগেই অবকাঠামো নির্মাণসহ সব কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এবার বাণিজ্য মেলার ২০তম আসরে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তানসহ ১৪টি দেশ।
ইপিবির কর্মকর্তারা জানান, বরাবরের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের পাশেই মাসব্যাপী এ মেলা বসবে। তবে এবারের মেলায় কিছুটা বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে। আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের স্টল এলোমেলো থাকায় ক্রেতাদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এবার পণ্যভিত্তিক স্টল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পোশাক, জুয়েলারি, গৃহস্থলি সামগ্রী, প্রসাধনী, খেলনা, খাদ্যসামগ্রী, কারু শিল্পসহ এ ধরনের পণ্যের স্টল একই স্থানে থাকবে।
এবার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২৯টি সংরক্ষিত স্টল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য একটির পরিবর্তে দুটি পার্ক করা হচ্ছে। এবারের মেলার আকর্ষণ থাকবে প্রথমবারের মতো ই-পার্ক। এতে নতুন প্রজšে§র জন্য গেম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। গত বছর ইকো পার্কে প্রাণী ও পাখির প্রতিকৃতি থাকলেও এবার বিশেষ ব্যবস্থায় জীবিত প্রাণী ও পাখি রাখা হবে। এবার নতুন করে থাকবে বিদেশি দুটি রেস্তোরাঁ। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের পরের বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপসমূহ প্রক্ষেপণ কল্পে ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্যাভিলিয়ান থাকছে।
ইপিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার মেলার গেট ইজারা হয়েছে ৫ কোটি দেড় লাখ টাকায়। গত বছর ছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য বড়দের জন্য ৩০ টাকা এবং ছোটদের জন্য ২০ টাকা। গত বছরে ৪৮৪ টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবার থাকছে ৫০৮টি। গত বছরে মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিলেও এবার ১৪টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে থাকবে ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি, অষ্ট্রেলিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।