ঢাকা: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে একটি নিপীড়নের ঘটনা। ঘটনার ভিক্টিম একজন নারী বাসযাত্রী। বাসে যাওয়ার সময় পেছনের সিটে বসা এক যাত্রী ক্রমাগত ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে। সে সময় চলনবিল নামের সেই বাসেই যাচ্ছিলেন পিয়ারুল নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি প্রথমে প্রতিবাদ করেন। এরপর অন্যান্যরাও এগিয়ে আসে, পরে বাস থেকে ওই নিপীড়ককে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা পিয়ারুলের হাতে মোবাইলের ভিডিও ফাংশনটি চালু ছিল। যার কারণে পরবর্তীতে তিনি সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আর এরফলে পুরো ঘটনাটি নজরে আসে নেটিজেনদের।
পিয়ারুল হাসান তৌহিদ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসলে ঘটনা হচ্ছিল আমি নিজেও দেখছিলাম, কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। পরে প্রতিবাদ করি। গত বুধবার বেলাব থানায় ফিল্ড পরিদর্শন করতে যাচ্ছিলাম কাজ শেষে নরসিংদীর মরজাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা গামী চলনবিল বাসে ব্যাংকে ফিরছিলাম।
তিনি বলেন, বাসে উঠতেই অসভ্য একটা কিছু চোখে পড়ে। এক নারীর সিটের পিছনে বসা মানুষ নামে অমানুষ এক লোক বাম হাত ও ডান হাত দিয়ে কিছুক্ষন পরপর নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছে। নারীটি নীরভে সহ্য করে চলছে। এর মধ্যে একবার অসভ্য লোকটি যখন বাম হাত দিয়ে জানালার পাশ দিয়ে নারীর বুকে হাত দেয় তখন নারীটি উফ শব্দ করে নিজে এবং জানালার পর্দা সরিয়ে নেয়।
পিয়ারুল বলেন, ‘অসভ্য’ লোকটির ডান হাত ও সমান তালে চলছিল। ডান হাত দিয়ে নারীর পশ্চাৎদেশে কিছুক্ষণ পরপর আঙ্গুল দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রায় ৩০ মিনিট এসব দেখে আসছিলাম আর অপেক্ষা করছিলাম গাড়িটি কখন শহরের কাছাকাছি আসবে। যখন ইটখোলা বাসস্ট্যান্ড আাসে তখন আমার প্রতিবাদ শুরু হয়। অবশেষে লোকটিকে বাস থেকে নামিয়ে দেই।
নারীর বরাত দিয়ে পিয়ারুল হাসান তৌহিদ বলেন, ‘অনেক পরেওই নারী কথা বলে। তিনি বললেন, ‘সে অনেক সময় ধরে আমাকে স্পর্শ করে আসছে আমি ভয়ে কিছু বলিনি।’ তারপর আমি ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে এসে নেমে যাই। নারী বাসে বসা ছিল। কিন্তু তার গন্তব্য আমার অজানা ছিল। অসভ্য লোকটি বলল তার বাড়ি চট্টগ্রাম। কাপড়ের ব্যবসা করে। বাবুরহাট থেকে কাপড় নিতে এসেছে।’
বাসে ট্রেনে এরকম নিপীড়নের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে তবে কোনো পুরুষ একাই এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করার ঘটনা কম। অবশ্য এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পিয়ারুলকে নেটিজেনরা শুভাশীষ জানাচ্ছেন।