দুই সন্তানের নিউক্লিয়াস পরিবার নিয়েই হিমসিম খান অনেক বাবা-মা। সেখানে কল্পনা করুন তো এক পরিবারেই ৩৪ জন ছেলে-মেয়ে? অনেকেই হয়তো আঁতকে উঠবেন। কিন্তু পল আর জিন ব্রিগস কিন্তু খুবই সুখী তাদের বিরাট পরিবার নিয়ে। আর ব্যাপারটা এখানেই থেমে থাকছে না। আরও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এই দম্পতি।
৩৪ জন ছেলে-মেয়ে নিয়ে পল এবং জিন ব্রিগসের যে বিশাল সংসার, তার মধ্যে ২৯ জনকে তারা দত্তক নিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে, বাকি পাঁচজনের বায়োলজিক্যাল বাবা-মা তারা নিজেরাই।
১৯৮৫ সালে দুই বছর বয়সী এক শিশুর ছবি দেখে থমকে দাঁড়ান জিন। অন্ধ শিশুটি তখন মেক্সিকোর এক অনাথ আশ্রমে। ভয়ংকরভাবে মারধর করা হয়েছিল শিশুটিকে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী-স্ত্রী, এই শিশুকে তারা দত্তক নেবেন। সেই শিশু আব্রাহাম এখন ৩১ বছরের যুবক। আর গত ২৯ বছর ধরে জিন আর পলের সংসারে যুক্ত হয়েছে আরও অনেক নতুন মুখ।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে শিশুদের দত্তক নিয়েছেন তারা। রাশিয়া, ইউক্রেন, ঘানা, বুলগেরিয়া। সাদা-কালো, নানা বর্ণের শিশুরা এক সঙ্গে এক ছাদের নিচে বেড়ে উঠছে।
কিভাবে সামলান তারা এত বড় সংসার। অনেকের মনে হতে পারে সেখানে বুঝি সারাক্ষণ একটা বিশৃঙ্খলা এবং দক্ষযজ্ঞ চলছে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ৩৪ জন ছেলে-মেয়েকে একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যেই রেখেছেন তারা।
তবে এত ছেলে-মেয়েকে জায়গা দিতে গিয়ে বাড়িটাকে অনেক বড় করতে হয়েছে। মোট ৯টি বেডরুম তাদের বাড়িতে। কোনো কোনো বেডরুম আদতে একেকটি ডরমিটরির মতো, সারি সারি শয্যা পাতা। পুরো বাড়ির আয়তন পাঁচ হাজার বর্গফুট।
এত বড় সংসার টানার খরচও কম নয়। প্রতি সপ্তাহের বাজার খরচই হাজার ডলারের ওপর।
কিন্তু এত ছেলে-মেয়েকে স্কুলে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা কি? সেই ঝামেলায় জাননি পল-জিন দম্পতি। বাড়ির মধ্যেই বসিয়েছেন স্কুল। সেখানে নিজেরাই তাদের পড়ান।
বাড়িতে নিয়মের কড়াকড়ি। ঠিক সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে সবাইকে উঠতে হবে। তারপর ব্রেকফাষ্ট। এরপর সকাল ৯টায় স্কুলের পাঠ শুরু। ঘরের স্কুলে পড়েই তাদের অনেক ছেলে-মেয়ে ইউনিভার্সিটির দরোজা টপকেছে।
অনেকে ভাবতে পারেন, এত কিছুর পর হয়তো এই দম্পতির হাঁপিয়ে উঠার কথা। মোটেই তা নয়। তারা এখন উজবেকিস্তান থেকে দত্তক নেওয়া আরও দুই শিশুকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
৩৪ জন ছেলে-মেয়ে নিয়ে পল এবং জিন ব্রিগসের যে বিশাল সংসার, তার মধ্যে ২৯ জনকে তারা দত্তক নিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে, বাকি পাঁচজনের বায়োলজিক্যাল বাবা-মা তারা নিজেরাই।
১৯৮৫ সালে দুই বছর বয়সী এক শিশুর ছবি দেখে থমকে দাঁড়ান জিন। অন্ধ শিশুটি তখন মেক্সিকোর এক অনাথ আশ্রমে। ভয়ংকরভাবে মারধর করা হয়েছিল শিশুটিকে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী-স্ত্রী, এই শিশুকে তারা দত্তক নেবেন। সেই শিশু আব্রাহাম এখন ৩১ বছরের যুবক। আর গত ২৯ বছর ধরে জিন আর পলের সংসারে যুক্ত হয়েছে আরও অনেক নতুন মুখ।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে শিশুদের দত্তক নিয়েছেন তারা। রাশিয়া, ইউক্রেন, ঘানা, বুলগেরিয়া। সাদা-কালো, নানা বর্ণের শিশুরা এক সঙ্গে এক ছাদের নিচে বেড়ে উঠছে।
কিভাবে সামলান তারা এত বড় সংসার। অনেকের মনে হতে পারে সেখানে বুঝি সারাক্ষণ একটা বিশৃঙ্খলা এবং দক্ষযজ্ঞ চলছে। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ৩৪ জন ছেলে-মেয়েকে একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যেই রেখেছেন তারা।
তবে এত ছেলে-মেয়েকে জায়গা দিতে গিয়ে বাড়িটাকে অনেক বড় করতে হয়েছে। মোট ৯টি বেডরুম তাদের বাড়িতে। কোনো কোনো বেডরুম আদতে একেকটি ডরমিটরির মতো, সারি সারি শয্যা পাতা। পুরো বাড়ির আয়তন পাঁচ হাজার বর্গফুট।
এত বড় সংসার টানার খরচও কম নয়। প্রতি সপ্তাহের বাজার খরচই হাজার ডলারের ওপর।
কিন্তু এত ছেলে-মেয়েকে স্কুলে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা কি? সেই ঝামেলায় জাননি পল-জিন দম্পতি। বাড়ির মধ্যেই বসিয়েছেন স্কুল। সেখানে নিজেরাই তাদের পড়ান।
বাড়িতে নিয়মের কড়াকড়ি। ঠিক সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে সবাইকে উঠতে হবে। তারপর ব্রেকফাষ্ট। এরপর সকাল ৯টায় স্কুলের পাঠ শুরু। ঘরের স্কুলে পড়েই তাদের অনেক ছেলে-মেয়ে ইউনিভার্সিটির দরোজা টপকেছে।
অনেকে ভাবতে পারেন, এত কিছুর পর হয়তো এই দম্পতির হাঁপিয়ে উঠার কথা। মোটেই তা নয়। তারা এখন উজবেকিস্তান থেকে দত্তক নেওয়া আরও দুই শিশুকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন