ঢাকা:বাংলাদেশ রেলওয়ে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আগামী ২২ মে থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। তবে একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া কোন কাউন্টার থেকে কোন গন্তব্যের টিকিট কাটতে হবে তাও জেনে নিতে হবে রেলযাত্রীদের।
এর মধ্যে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন (সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতু), বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন), বনানী (নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন), তেজগাঁও স্টেশন (ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন) এবং ফুলবাড়িয়া (সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন) থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
২২ মে দেওয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।
ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
রেলওয়ে সূত্রে বলা হয়েছে, একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এ জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। কালোবাজারি রোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৭২ হাজার টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই হিসেবে ঈদের ৫ দিনে ৩ লাখ ৫০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেবে রেলওয়ে।
৯৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন এসব ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দেবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রেল ভবনে রেলের ঈদযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়া জাহান এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপিসহ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী অন্যান্য বিষয় ঠিক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (১ জোড়া), চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (২ জোড়া), খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে মৈত্রীর রেক দিয়ে খুলনা ঈদ স্পেশাল, ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল, লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি ঈদ স্পেশাল, ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলবে। এর মধ্যে শোলাকিয়া স্পেশালগুলো ঈদের দিন সেবা দেবে।
কোথা থেকে পাবেন কোন গন্তব্যের টিকিট
এবারই প্রথম অগ্রিম টিকিট ঢাকা কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর, বনানী, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া থেকে বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা (কমলাপুর) থেকে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতু, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া
হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. শাসছুজ্জামান প্রমুখ।