ঢাকা: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে হিমশিম অবস্থার কারণে দলীয় সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপিতে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করলেও একে সংকট বলতে রাজি নন নেতারা। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় নীতি নির্ধারণী ফোরামের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির পর্যবেক্ষকরা। লন্ডনে থেকে দল চালানো কঠিন দাবি করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ২ বছরের জন্য পদত্যাগের পরামর্শ তাদের।
সংসদে বিএনপির যোগ না দেয়ার ঘোষণার মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল শপথ নেন জাহিদুর রহমান। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর শপথ নেন আরো ৪ জন। তবে শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকেন দলীয় মহাসচিব।
এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনেও। রাজপথ নাকি আইনি লড়াই- এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি।
এছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কমিটির ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম। তবে দলীয় প্রধান তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে দল চলছে, এমন কথা মানতে নারাজ বিএনপি নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিটা সিদ্ধান্তই একইভাবে গ্রহণ করা যায় না। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট বিচার করতে হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। এটার মধ্যে অস্থিরতা দেখার কোনো কারণ নাই। আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে ফোরাম, তারেক রহমান সেটার একটা অংশ এবং তিনি প্রধান, তার মতামতের গুরুত্ব অনেক বেশি, তার মানে এই নয় যে উনি সিদ্ধান্ত নেন, আমরা কিছু নেই না।
তবে দলের ভেতর গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় নীতি-নির্ধারণী পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ মত বিএনপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। তিনি বলেন, হাজার মাইল দূরে বসে এত বড় একটা দলকে নেতৃত্ব দেয়া যায় না। তারেকের উচিৎ হবে দুবছরের জন্য অব্যাহতি নেয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে না পারলে দলকে আরো সংকটের মুখে পড়তে হবে বলে অভিমত তার।