উড়োজাহাজ সংকটে বাংলাদেশ বিমানের শিডিউল বিপর্যয়

Slider জাতীয়


ডেস্ক: মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি। উড়োজাহাজ সংকটের কারণে গত পাঁচদিনে মোট ১১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে ইয়াংগুনে ড্যাশ-৮ দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত চারটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এছাড়া আগামী তিনদিনে (শুক্র-শনি ও রোববার) সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী রুটের আরও সাতটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এসব রুটে ছোট এয়ারক্রাফট না থাকায় বিমান কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে। বিমানের কোনো ছোট এয়ার ক্রাফট নেই যেটি দিয়ে এ সব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। এ সব রুটে বড় এয়ার ক্রাফট নেয়ারও সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় কাটানোর জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কলকাতাতে ড্যাশ-৮ এর মতো ছোট এয়ারক্রাফটের বদলে বড় এয়ারক্রাফট দেয়া যাবে। কারণ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে বড় বোয়িং ৭৭৭, ৭৩৭ ও ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। সুতরাং এ সব রুটে বড় এয়ার ক্রাফট ব্যবহার হলে শিডিউল জটিলতা কিছুটা কমবে। এছাড়া নতুন একটি এয়ার ক্রাফট যোগ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি সপ্তাহেই।
সেটি এলে উড়োজাহাজ সংকট মোকাবিলায় সুবিধা হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, অভ্যন্তরীণ রুট ছাড়া আন্তর্জাতিক রুটে কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তবে বিমানের শিডিউলে যে জটিলতা রয়েছে তা আগামী ১৩ মে থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শাকিল মেরাজ জানান, শুক্রবার রাতে বিমানবহরে যোগ হচ্ছে পঞ্চম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ।

এটি এলেই উড়োজাহাজ দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের মতো বড় রানওয়ে যেখানে রয়েছে সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। তখন আর অসুবিধা হবে না। বাকি ছোট দুই এয়ার ক্রাফট দিয়ে রাজশাহী, সৈয়দপুর যশোর, বরিশালে যাওয়া যাবে। তখন আর কোনো সংকট হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই মহাব্যবস্থাপক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *