শব্দ নিয়ে খেলা। না শব্দের খেলা? না কি তার চেয়েও বেশি কিছু, যেমন আর চোখের দৃষ্টি, উপস্থাপনার ধরন? তা সে যে ভাবেই ব্যাখ্যা হোক না কেন, কোনো মহিলা সম্পর্কে ‘ডিলাইটফুল’ বিশেষণটি ব্যবহারের আগে তা জেনে শুনেই করা ভালো। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত মনে করছে, ‘ডিলাইটফুল’ শব্দটি যৌন ইঙ্গিতবাহী হতে পারে। অর্থাৎ কাউকে যদি আপনি ‘ডিলাইটফুল লেডি’ বলেন, আর সে শব্দটি যদি সেই মহিলার কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, তা হলে তা নিয়ে যৌন নিগ্রহের মামলা হতেই পারে।
কেন হবে? তার একটা নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। মহিলা আইনজীবীর যৌন হেনস্থা তদন্ত কমিটি নিয়ে একটি মামলার শুনানি বিচারপতি জে এস খেহার ও বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের আইনজীবী যখন বলছেন তখন নিগৃহীতা আইনজীবীর উকিল বার বার আপত্তি করেন। তাতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের আইনজীবী বলেন, দ্য ইনটারজেকশন বাই দ্য সিনিয়র কাউন্সিল ফর দ্য পিটিশনার আর অলওয়েস ডিলাইটফুল৷
এতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। নিগৃহীতার আইনজীবী তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, ‘কোনো পুরুষ আইনজীবী যদি এই বাধা দিতেন তা হলেও কি বলা হতো ডিলাইটফুল? যা যদি না হয়, তা হলে অতি অবশ্যই এই শব্দটি যৌন ইঙ্গিতবাহী।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চও তা মেনে নেন। বলা হয়, হ্যাঁ, ওর ব্যাখ্যা যুক্তিসঙ্গত। দুই বিচাপরতি বলেন, ‘যা বলা হয় তার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ওই মহিলা আইনজীবীর বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীলতা থেকে বেরিয়ে একটি শব্দের সম্পূর্ণ অন্য রকমের একটি অর্থ। কাজেই এই শব্দের প্রয়োগের পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী যৌন হেনস্থার মামলা করা যেতেই পারে। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে, অন্য সব ক্ষেত্রের মতোই তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।