হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পূর্ব ইছলী এলাকায় সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্বেশ্বর গ্রামে।
রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের দাবি, নিহত শহিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নারী অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১২টি মামলা আছে।
পুলিশ জানায়, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্বেশ্বর গ্রামের শহিদুলকে গঙ্গাচড়া থানা-পুলিশ গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁকে নিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের চর ইছলী এলাকায় যায়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা তাঁর সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে শহিদুল নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা, একটি দেশি পিস্তল ও ২২টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, শহিদুল সন্ত্রাসী। তিনি নারী অপহরণ ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা আছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।