চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিদিনই যানজটে পড়তে হয় সাধারণ মানুষের। এ যানজটে অফিস, বিমান বন্দর, ট্রেন যাত্রীদের প্রতিনিয়িত টিকেট মিস করতে হয়। সোমবার একইভাবে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রোড বিমানবন্দর। এখানে দুপুরের পর থেকেই যানজটের কবলে পড়েছে বিমান যাত্রীরা।
প্রায়ই নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম প্রধান আনোয়ার এইচ সিদ্দিকী বলেন, সব সময়ই যানজটের কারণে ফ্লাইট মিস করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু অন টাইম ডিপারচারের কারণে এ বিষয়ে কিছু করার থাকে না।
আবুল বশর নামের এক বিমান যাত্রী গত রবিবার ঢাকায় যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যেতে সময় লাগায় বিমান ধরতে পারিনি যানজটের কারণে। তবে এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। দ্রুত সমাধান করা জরুরী বলে জানান তিনি।
জানা যায়, জিইসি মোড় থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহনের মাধ্যমে এ পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। কিন্তু যানজটের কারণে এই রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দুই থেকে চার ঘণ্টা। দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে বিমান বন্দর সড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্র। সিএমপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনের বেলায় নগরে চলছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি। বন্দরে বিভিন্ন রফতানি পণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত এসব ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি বিজিএমইএ’র বিশেষ টোকেন নিয়ে নগরে প্রবেশ করছে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হচ্ছে সড়কে। বিদেশগামী যাত্রীরা সঠিক সময়ে বিমান বন্দরে পৌঁছাতে না পারায় আন্তর্জাতিক বিমানে যেতে পারছেন না। চাকরি হারিয়ে অনেকে দেশে ফেরত আসার ঘটনাও ঘটেছে। পোষাক শিল্পের ক্রেতারা যানজটের কারণে বাংলাদেশ বিমুখ হয়ে পড়ছেন। এতে পোশাক শিল্পের বাজার হারাতে বসেছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।