হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ক্ষেতে দুলছে সোনালী বোরো ধান। রমজানের আগে আগাম বোরো ধান পাকায় খুশি কৃষকরা।
তাই ধান-কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকেই। তবে চাষাবাদের সময় বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে ক্ষেতে পানি দেয়া হয়েছে। সার কীটনাশকের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। খরচ পড়েছেও বেশি।
সে হিসেবে বাজারে চালের কেজি ৩৭-৪০ টাকা ধরা হয়েছে।
এ কারণে স্বস্তির বাতাস বইছে কৃষকের ঘরে। কিন্তু দুশিন্তাও ভর করেছে কারণ প্রতি মণ ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫শ’ টাকা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কৃষক আবু তালেব বলেন, সার, তেল, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রতি বিঘায় বোরো ধান চাষে খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
অধিক ব্যয়ে ধান উৎপাদন হলেও তার উপর ন্যায্য মূল্য না থাকায় বোরো ধান চাষ করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
ফলে বোরো চাষে উৎসাহ হারাচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকরা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষন রায় বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ৪৮ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
সে থেকে ২ লাখ মে. টন চাল উৎপাদনের টার্গেট করেছে কৃষি বিভাগ। আগাম ধান পাকতে শুরু করায় কৃষকের পাশাপাশি কৃষি বিভাগও খুশি।
সেই সঙ্গে কৃষকরাও খুশি আগাম ধান পাকায়। তবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের দাবি ধান চাষে উৎপাদন খরচ কমাতে ন্যায্য মূল্যে সার, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।
কৃষকদের দাবি বোরো ধানের এই মৌসমে সরকারি ভাবে সরসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার।