শনিবার ভোর ৬টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। ঘূর্ণিঝড়টি যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ছিল না। অনেকটাই দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে আসে ‘ফণী’।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসায় ক্রমান্বয়ে ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে।
আর বাংলাদেশে প্রবেশের আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীকে ভারতের উড়িষ্যার পুরী, পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশের উপর দিয়ে আঘাত করে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এরপরই সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল, ফরিদপুর, ঢাকা অঞ্চল, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, পাবনা, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ হয়ে সিলেট অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে ভারতের শিলংয়ের দিকে যায়।
তারা বলেন, বাংলাদেশ অতিক্রমের সময় এটা গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
সমুদ্রবন্দরসমূহে যে বিপদ সংকেত ছিল তা নামিয়ে আনা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড় ফণী। টানা ৫ দিন সাগরে অবস্থান করে শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এটি। প্রায় এক সপ্তাহ পর শনিবার সকালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ফণী। বাংলাদেশে প্রবেশের আগে শুক্রবার উড়িষ্যার পুরীতে সর্বশেষ তাণ্ডব চালায় ফণী। তখন ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ২০০ থেকে ২১০ কিলোমিটার। এরপর কিছুটা দুর্বল রূপে খড়গপুর হয়ে স্থলপথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। কমতে থাকে ফণীর দাপট। এরপর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে আসতে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে ফণী। যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন গতিবেগ ছিল ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। পরে এটার গতি আরো কমে গিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।